নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার নজিপুর পৌরসভা ব্লকের হরিরামপুর গ্রামে ব্রিধান-৪৮ জাতের আউশ ধান কর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পত্নীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকারের সভাপত্বিতে বোরো ধান কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাবা মাহমুদা পারভিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাা মো: মোহাতাব হোসেন।
কৃষক মো: মাছুদ রহমানের ২০ বর্গমিটার মাপের জমিতে ব্রিধান-৪৮ জাতের আউশ ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়। কর্তন শেষে মাড়াই-ঝাড়াই করে শুকনা ফলন ধানে হেক্টরে ৫.১০ মেট্রিক টন পাওয়া যায়।
ধান কর্তন শেষে আলোচনায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পত্নীতলা উপজেলা হচ্ছে ধান উৎপাদনের প্রধান এলাকা। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের আউশ প্রনোদনা সহায়তা কাজে লাগিয়ে বোরো ও আমন ধান চাষের মাঝামাঝি সময়ে আউশ ধানের আবাদ করে কৃষক বেশ লাভবান হচ্ছে। পত্নীতলা উপজেলাতে এবছর আউশের মোটামুটি বেশ ভাল আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভাল হচ্ছে যা নমুনা শস্য কর্তনের মাধ্যমে সহজেই প্রতিয়মান হচ্ছে। নওগাঁ জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় পতœীতলায় সবচেয়ে বেশী পরিমানে ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। তাই আমন ও বোরো ধানের পাশাপাশি অল্প খরচে আউশ ধানের আবাদ করে কৃষক বেশ লাভবান হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে তিনি উপস্থিত কৃষকভাইদের ধান চাষের পাশাপাশি গম, ভুট্টা, ডাল, তেল, বিভিন্ন শাক-সবজি চাষে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
ধান কর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, শস্য কর্তনের মাধ্যমে ফসলের ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। তবে তিনি বলেন, আউশ ধান সল্প সময়ের কম খরচে আবাদ করা যায় এবং সরকার কর্তৃক প্রনোদনা সহায়তা কাজে লাগিয়ে আউশ আবাদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীগণ কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে সহায়তাদানে আশ্বাস প্রদান করেন।